চেয়ারের উপর বসে ছিলাম । হটাৎ দূর থেকে একটা আওয়াজ আসছিল।। আওয়াজ নয় ঠিক স্লোগান বটে।। স্লোগান টি ছিল। জোর করে সরকারি বেসরকারি চাকরি দেওয়া চলছে না চলবে না চলছে না চলবে না । আমি ধরপাকড় করে উঠে পড়লাম। তারপর মিছিল টা কাছাকাছি এলে একটা লোক কে জিজ্ঞাসা করলাম যে এটা কিসের মিছিল।।
তখন লোক টি বললো।। জানেন না দেশে যে ভাবে চাকরির সংখ্যা বেড়েছে তাতে করে জনগন ক্ষুব্ধ হচ্ছে।।
আমি বললাম সেকি তাই নাকি তারপর।
লোকটি বলল জানেন ওই সাম্যবাদী, মেহনতির লোক গুলো আমাদের তিন টা চারটে করে চাকরি দিচ্ছে। চাকরি করতে অস্বীকার করলে তারা রীতি মত হুমকি দিচ্ছে। এমনকি কয়েকজন কে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাংক এর ম্যানেজার ও বানিয়ে দিয়েছে।। কি বিপদ বলুন তো।
আমি বললাম।। ঠিক ই তো এই অন্যায় সহ্য করা যায় না । আমার কাছে ও কাল দুটো সাম্যবাদী এসেছিল আমার বাড়ির পাঁচিল টপকে আমাকে রীতি মত শাসিয়ে গেছে ওই ব্যাংক এর লোন এর ব্যাপারে। আর ওই মহেশ দের ঘরে জানলার কাঁচ ভেঙে ssc র appointment letter এর কাগজ ছুড়ে গেছে । এদের কিছু বলা ও যাচ্ছে না । প্রতিবাদ করলেই account এ বোনাস, DA , ইনসেন্টিভ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। একে বারে যাচ্ছে তাই।
পাশের ঘরের কাকিমা এতক্ষন ঘটনা গুলো শুনছিলেন। উনিও বলে বসলেন জানেন।। কাল খবরে কি বলছে??
আমি ও লোকটি বললো কি বলেছে।।
বলেছে নাকি কালা ধন ফেরৎ এসেছে।। সে কি ভয়ংকর কালো কালো টাকা।। আমার তো শুনে ভয় করছে ।। এই বুঝি ব্যাংক এ 15 লাখ ঢুকে গেল । এইবলে রাধে গোবিন্দ রাধে গোবিন্দ বলে ঘরে ঢুকে গেল। আমিও লোক টিকে বিদায় দিয়ে ঘরে ঢুকে গেলাম।। বিকেলে আমার এক বন্ধু এলো আমরা চা খেতে খেতে আলোচনা করছিলাম যে নেতা গুলো আজ কত সৎ হয়ে গেছে বল।। এত সৎ যে অভিধান থেকে সত্যবাদী শব্দ উঠে গিয়ে কেবল নেতা শব্দ টা বসে গেছে । আমি শুনে বললাম হ্যাঁ তা তো হবেই।তারপর আবার বন্ধু টি বললো জানিস একটা সমস্যায় পড়ছি ।
আমি বললাম কি সমস্যা।
সে বললো , ব্যবসার জন্য যে loan টা নিয়েছিলাম সেটা ব্যাংক সুদে আসলে ফেরত নিতেই চাইছে না। ফেরত দিতে গেলেই ধমক দিয়ে বাড়ি পাঠাচ্ছে । আমি বললাম আহা স্বাধীনতার এত বছর পর ও সাধীনতা নেই। এরপর দুজনে একটু বাইরে বেরোলাম , রাস্তায় একটি ভিখারি ভিক্ষা করছিল তার সামনে paytm , bhim , check box , pos machine সবই ছিল । আমি একটা চেক নিয়ে ভিকারীটির সেক্রেটারি কে দিলাম । তারপর কিছু দূরে গিয়ে দেখলাম একজন দিল্লির ছেলে একটা machine আবিষ্কার করেছে । ওই machine এ আলু ঢোকালে সোনা হয়ে বেরোয়। আমি আর আমার বন্ধু একটা mechine কিনে ফেলে বাড়ি চলে এলাম।। এরপর বাড়ি এসে টিভি চালাতেই দেখলাম খবরের হেডলাইন , রাস্তায় একা পেয়ে একটি অসহায় যুবক কে পাঁচটি যুবতী মিলে গণধর্ষণ করে ফেলেছে , তারপরের হেডলাইন " গরিবের সেবা কাজে মনোনয়ন পত্র নিয়ে শান্তি মূলক বিতর্ক চলছে । একদল নেতা তো গরিবের দুঃখ মেটানোর সুযোগ পাবার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে মূর্ছায় পরে গেছে।। আরেকদল দেখি বলতে শুরু করেছে। আমাদের কে গরিবের উপকার করার একটা সুযোগ দিতেই হবে না হলে বন্ধ ডাকবো।। এইভাবে ভাবে তাদের কোলাকুলি দেখতে দেখতে। হটাৎ ঘুম ভেঙে গেল।। ঘুম থেকে উঠেই স্বপ্ন গুলোর কথা মনে পড়লো ।। আহা কি সুন্দর স্বপ্ন ।। ঠিক যেন গান্ধীজির রামরাজ্য আর মার্ক্স এর সাম্যবাদী সমাজ এর মত।
তখন লোক টি বললো।। জানেন না দেশে যে ভাবে চাকরির সংখ্যা বেড়েছে তাতে করে জনগন ক্ষুব্ধ হচ্ছে।।
আমি বললাম সেকি তাই নাকি তারপর।
লোকটি বলল জানেন ওই সাম্যবাদী, মেহনতির লোক গুলো আমাদের তিন টা চারটে করে চাকরি দিচ্ছে। চাকরি করতে অস্বীকার করলে তারা রীতি মত হুমকি দিচ্ছে। এমনকি কয়েকজন কে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাংক এর ম্যানেজার ও বানিয়ে দিয়েছে।। কি বিপদ বলুন তো।
আমি বললাম।। ঠিক ই তো এই অন্যায় সহ্য করা যায় না । আমার কাছে ও কাল দুটো সাম্যবাদী এসেছিল আমার বাড়ির পাঁচিল টপকে আমাকে রীতি মত শাসিয়ে গেছে ওই ব্যাংক এর লোন এর ব্যাপারে। আর ওই মহেশ দের ঘরে জানলার কাঁচ ভেঙে ssc র appointment letter এর কাগজ ছুড়ে গেছে । এদের কিছু বলা ও যাচ্ছে না । প্রতিবাদ করলেই account এ বোনাস, DA , ইনসেন্টিভ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। একে বারে যাচ্ছে তাই।
পাশের ঘরের কাকিমা এতক্ষন ঘটনা গুলো শুনছিলেন। উনিও বলে বসলেন জানেন।। কাল খবরে কি বলছে??
আমি ও লোকটি বললো কি বলেছে।।
বলেছে নাকি কালা ধন ফেরৎ এসেছে।। সে কি ভয়ংকর কালো কালো টাকা।। আমার তো শুনে ভয় করছে ।। এই বুঝি ব্যাংক এ 15 লাখ ঢুকে গেল । এইবলে রাধে গোবিন্দ রাধে গোবিন্দ বলে ঘরে ঢুকে গেল। আমিও লোক টিকে বিদায় দিয়ে ঘরে ঢুকে গেলাম।। বিকেলে আমার এক বন্ধু এলো আমরা চা খেতে খেতে আলোচনা করছিলাম যে নেতা গুলো আজ কত সৎ হয়ে গেছে বল।। এত সৎ যে অভিধান থেকে সত্যবাদী শব্দ উঠে গিয়ে কেবল নেতা শব্দ টা বসে গেছে । আমি শুনে বললাম হ্যাঁ তা তো হবেই।তারপর আবার বন্ধু টি বললো জানিস একটা সমস্যায় পড়ছি ।
আমি বললাম কি সমস্যা।
সে বললো , ব্যবসার জন্য যে loan টা নিয়েছিলাম সেটা ব্যাংক সুদে আসলে ফেরত নিতেই চাইছে না। ফেরত দিতে গেলেই ধমক দিয়ে বাড়ি পাঠাচ্ছে । আমি বললাম আহা স্বাধীনতার এত বছর পর ও সাধীনতা নেই। এরপর দুজনে একটু বাইরে বেরোলাম , রাস্তায় একটি ভিখারি ভিক্ষা করছিল তার সামনে paytm , bhim , check box , pos machine সবই ছিল । আমি একটা চেক নিয়ে ভিকারীটির সেক্রেটারি কে দিলাম । তারপর কিছু দূরে গিয়ে দেখলাম একজন দিল্লির ছেলে একটা machine আবিষ্কার করেছে । ওই machine এ আলু ঢোকালে সোনা হয়ে বেরোয়। আমি আর আমার বন্ধু একটা mechine কিনে ফেলে বাড়ি চলে এলাম।। এরপর বাড়ি এসে টিভি চালাতেই দেখলাম খবরের হেডলাইন , রাস্তায় একা পেয়ে একটি অসহায় যুবক কে পাঁচটি যুবতী মিলে গণধর্ষণ করে ফেলেছে , তারপরের হেডলাইন " গরিবের সেবা কাজে মনোনয়ন পত্র নিয়ে শান্তি মূলক বিতর্ক চলছে । একদল নেতা তো গরিবের দুঃখ মেটানোর সুযোগ পাবার জন্য কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে মূর্ছায় পরে গেছে।। আরেকদল দেখি বলতে শুরু করেছে। আমাদের কে গরিবের উপকার করার একটা সুযোগ দিতেই হবে না হলে বন্ধ ডাকবো।। এইভাবে ভাবে তাদের কোলাকুলি দেখতে দেখতে। হটাৎ ঘুম ভেঙে গেল।। ঘুম থেকে উঠেই স্বপ্ন গুলোর কথা মনে পড়লো ।। আহা কি সুন্দর স্বপ্ন ।। ঠিক যেন গান্ধীজির রামরাজ্য আর মার্ক্স এর সাম্যবাদী সমাজ এর মত।
No comments:
Post a Comment